কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র
পাহাড়-ঝর্না-নদীর অপরূপ সমন্বয় বান্দরবানকক্সবাজার: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র, প্রিয় দর্শক এটি হচ্ছে
আজকের আমাদের আলোচ্য বিষয়। । এখানে কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের
প্রাণকেন্দ্র এই বিষয়ে সহ কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত, কক্সবাজারের দর্শনীয়
স্থানগুলোর নাম ও বর্ণনা এগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
আশা করছি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।তাহলে
চলুন দেরি না করে কক্সবাজার এবং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে
আসি।
পোস্ট সূচীপত্রঃকক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র
নিচের যে বিষয়ে আগে পড়বেন তাতে ক্লিক দিন
- কক্সবাজার নিয়ে কিছু তথ্য
- কক্সবাজারের শিল্প এবং উপজাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
- কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
- কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম এবং বর্ণনা
- অল্প খরচে রাত্রি যাপনের জন্য পাঁচটি সেরা হোটেলের
- রাত্রি যাপনের জন্য কক্সেবাজারের পাঁচটি উচ্চ মানের হোটেল
- বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কক্সবাজারের অবদান
- শেষ কথা
কক্সবাজার নিয়ে কিছু তথ্য
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।কক্সবাজার এটি মূলত বাংলাদেশের
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম একটি লীলাভূমি। কক্সবাজার সাধারণত বাংলাদেশের দক্ষিণ
পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত।বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন
প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত এই কক্সবাজার পর্যটনকেন্দ্র পুরো পৃথিবীতে
বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে অন্যভাবে পরিচিতি অর্জন করেছে।
কক্সবাজার: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্রএটা বাংলাদেশের জন্য একটি
গৌরবের বিষয়। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে ভ্রমণের জন্য
একটি স্বর্গীয় গন্তব্য স্থল হিসেবে পরিচিত।কক্সবাজারের নামকরণ করা হয়েছে “হিরম
কক্স”এই ব্রিটিশ নৌ- অফিসারের নামানুসারে,১৭৮০ সালে এই ব্রিটিশ অফিসার এই অঞ্চলকে
একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন তার হাত ধরেই বাংলাদেশের এক কক্সবাজার
আজ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে রেখেছে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে।
কক্সবাজার শুধু তার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানে রয়েছে
বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হলঃইনানী বীচ, হিমছড়ি,
মহেশখালী দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, এবং টেকনাফ প্রভৃতি স্থান পর্যটকদের আকর্ষণ
করে।কক্সবাজার এটি একটি বাংলাদেশের জেলা কিন্তু কক্সবাজার মূলত বাংলাদেশ এবং
বহির্বিশ্বের কাছে পরিচিত তার সমুদ্র সৈকতের কারণে। কক্সবাজারের অর্থনৈতিক দিক এর
পর্যটন শিল্পের উপর মূলত নির্ভরশীল।
কক্সবাজারের শিল্প এবং উপজাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।প্রতিবছর দেশি-বিদেশী লক্ষ
লক্ষ পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসে যায় স্থানীয় অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখে।
পর্যটন শিল্প ছাড়া কক্সবাজারে রয়েছে মৎস্য শিল্প ,লবণ উৎপাদন এবং কুটির শিল্প
যা পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি অর্থনীতিতে এগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখে ।এছাড়াও
কক্সবাজার বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত।
কেননা এখানে রাখাইন চাকমা এবং মায়েরমা সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে
যারা তাদের নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য বজায় রাখার মাধ্যম দিয়ে পর্যটকদের
কাছে অতি প্রিয়।কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের মুকুটমনে হিসেবে বাংলাদেশের
অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি ঐতিহ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে অতীত হইতে এখন
পর্যন্ত।
কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
কক্সবাজার বাংলাদেশ এর পর্যটন শিল্পের প্রাণ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিতি লাভ
করলেও এটি তার বিভিন্ন সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি
বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের জন্য প্রসিদ্ধ স্থান
হিসেবে পরিচিত। কক্সবাজার সমুদ্রের নীল পানি, সোনালী বালুকাময় সৈকত এবং
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য যা বহির্বিশ্ব এবং বাংলাদেশের ভ্রমণ রসিকদের
মন জয় করে আসছে প্রাচীন সময় থেকে।
কক্সবাজার শুধু তার সমুদ্র সৈকতের জন্যই নয় এর আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
জন্য বিখ্যাত। যার অপরূপ সৌন্দর্য মন কেটেছে প্রত্যেকটা ভ্রমণ প্রিয় মানুষের।
সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি এখানে রয়েছে সবুজ পাহাড়, ঘন বনভূমি এবং এর মধ্যে অবস্থিত
বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণী।পর্যটকরা এখানে সমুদ্রে স্নান, সূর্যস্নান,
সার্ফিং, এবং বিভিন্ন জলক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এছাড়াও, কক্সবাজারের বিখ্যাত সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে তাজা মাছ ও কাঁকড়া,
পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।কক্সবাজারে অবস্থিত স্থানীয় সংস্কৃতি ও
ঐতিহ্য যেমন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং বৌদ্ধমন্দির যা কক্সবাজারকে একটি সমৃদ্ধ
সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিসেবে শুধু বাংলাদেশী নয় বিশ্বের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয়
পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম এবং বর্ণনা
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত সহ এর
আশেপাশে অবস্থিত কিছু আকর্ষণীয় এবং দর্শনীয় স্থান এর নাম ও বর্ণনা নিচে দেওয়া
হলঃ
(মূল সমুদ্র সৈকত)কক্সবাজার সী বিচঃকক্সবাজার সী বিচঅর্থাৎ মূল সমুদ্র সৈকত এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ও অবিচ্ছিন্ন
প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। এটি প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। নীল পানি,
সোনালী বালুকাময় সৈকত এর পাশাপাশি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য এই সব
কিছু এই স্থানটিকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় হিসেবে নিজেকে
তুলে ধরেছে।পর্যটকরা এখানে সাগরে স্নান করা, সূর্যস্নান নেওয়া, বালুকায় হাঁটা
এবং নৌকা ভ্রমণের মতো নানা কার্যক্রম উপভোগ করতে পারেন।এর পাশাপাশি এই মূল সমুদ্র
সৈকতের পাশ ঘিরে রয়েছে অনেক হোটেল রেস্তোরা শপিং সেন্টার যা পর্যটকদের জন্য অনেক
সুবিধা জনক।
লাবনী বিচঃকক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে লাবনী বিচ অন্যতম।সৌন্দর্য দিক দিয়ে এবং
এর অপরূপ বৈশিষ্ট্যের কারণে প্রতিবছর এখানে আসা লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের কাছে এটি
একটি স্বর্গরাজ্য। এই সৈকতের বিশেষত্ব হল এর সোনালী বালুকাময় তট, নীল সমুদ্রের
অফুরন্ত জলরাশি এবং সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য।পর্যটকরা এখানে সমুদ্রে স্নান,
সূর্যস্নান, সার্ফিং এবং বিভিন্ন জলক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।এছাড়াও এই
সৈকতের পাশে রয়েছে সুন্দর সবুজ পাহাড় এবং ঘন বনভূমি যা প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে
একটি স্বপ্ন রাজ্যের মত।এর পাশাপাশি এখানে আরো রয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতি এর
ঐতিহ্য এবং সমুদ্রের তাজা খাবার উপভোগ করার সুযোগ। লাবনী বিচ শুধু একটি পর্যটন
কেন্দ্র নয়, এটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন।
ইনানী বিচঃইনানী বিচটি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় অবস্থিত। সুদূরপ্রসারী বালুকাময়
সৈকত,নীল সমুদ্র এবং সবুজ পাহাড়ের সমন্বয়ে ইনানী বিচএকটি মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য
স্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। এখান থেকেও পর্যটকরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরের
দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। এই বিচার কাছেই রয়েছে হিমছড়ি জলপ্রপাত যা এখানে ভ্রমণরত
পর্যটকদের জন্য একটি অতিরিক্ত আকর্ষণ। এছাড়াও,ইনানী বিচ রয়েছে বিভিন্ন হোটেল ও
রিসোর্ট যেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আরামদায়কভাবে অবস্থান করতে পারে। প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের কারণে প্রতিনিয়ত এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে ক্রমশ
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
হিমছড়ি বিচঃহিমছড়ি বিচকক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি মনোরম সমুদ্র সৈকত। এটি বিশ্বের
দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত।হিমছড়ি বিচএর বিশেষত্ব হল এর
নির্জনতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এছাড়াও এখান থেকেও সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের
অপরূপ দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।হিমছড়ি বিচবাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের একটি
গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে চলেছে।
শাহপরীর দ্বীপ বিচঃশাহপরীর দ্বীপ বিচএটি টেকনাফ জেলায় নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। সুন্দর প্রাকৃতিক
দৃশ্য, নীল সমুদ্র এবং সোনালী বালুকাময় সৈকত এর প্রধান আকর্ষণ। এই দিকটি প্রায়
৮ কিলোমিটার লম্বা এবং ৫ কিলোমিটার চওড়া। এখানে পর্যটকরা োদয় ও সূর্যাস্তের
অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারে। এর পাশাপাশি শাহপরীর দ্বীপ বিচ নৌকা ভ্রমণ এবং মাছ
ধরার মতো কার্যক্রমের কারণে ও পর্যটকদের কাছে অনেক পছন্দের একটি স্থান।শাহপরীর
দ্বীপ বিচ এর কাছে রয়েছে সবুজ পাহাড় ও ঘন বনাঞ্চল যা এর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে
তুলে।
অল্প খরচে রাত্রি যাপনের জন্য পাঁচটি সেরা হোটেলের
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র
হোটেল সী কোরালঃ
- সমুদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ।
- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কক্ষ ও সুইট, যা আরামদায়ক অবস্থানের নিশ্চয়তা দেয়।
- বিভিন্ন ধরনের স্বাদুপেয় খাবার পরিবেশনকারী রেস্তোরাঁ।
- সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার, এবং স্পা সহ বিনোদনমূলক সুবিধাদি।
- ব্যবসায়িক সভা ও অনুষ্ঠানের জন্য আধুনিক কনফারেন্স কক্ষ।
- দক্ষ ও বন্ধুসুলভ কর্মীদের সেবা, যা অতিথিদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।
হোটেল সী প্যালেসঃ
- হোটেল সী প্যালেস কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় আবাসস্থল।
- এটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ বিলাসবহুল কক্ষ এবং সুইট প্রদান করে।
- হোটেলটিতে একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ রয়েছে, যেখান থেকে সমুদ্রের পানোরামিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
- অতিথিদের জন্য স্পা, ফিটনেস সেন্টার এবং সুইমিং পুল সহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক সুবিধা রয়েছে।
- হোটেলটি ব্যবসায়িক সভা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য সম্মেলন কক্ষ প্রদান করে।
হোটেল সী ক্রাউনঃ
- সমুদ্রের দৃশ্যসহ আরামদায়ক কক্ষ।
- উচ্চমানের রেস্তোরাঁ যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবার পরিবেশন করা হয়।
- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত সুইমিং পুল।
- ফিটনেস সেন্টার ও স্পা।
- বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপের ব্যবস্থা।
- সম্মেলন ও অনুষ্ঠানের জন্য সুসজ্জিত হল রুম।
হোটেল বীচ হলিডেঃ
- সমুদ্রের পানোরামিক দৃশ্য সহ আরামদায়ক কক্ষ।
- তাজা সামুদ্রিক খাবার পরিবেশনকারী রেস্তোরাঁ।
- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ স্পা ও ফিটনেস সেন্টার।
- সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন ওয়াটার স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি।
- স্থানীয় পর্যটন আকর্ষণগুলিতে গাইডেড ট্যুর।
- বিনোদনমূলক কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
হোটেল সী শেলঃ
- কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত হোটেল সী শেল একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
- এর অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও আরামদায়ক কক্ষগুলি পর্যটকদের জন্য বিশ্রাম ও আরামের নিশ্চয়তা দেয়।
- হোটেলটি সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ প্রদান করে।
- এখানে রয়েছে উচ্চমানের রেস্তোরাঁ যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবার পরিবেশন করা হয়।
- অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কার্যক্রম ও ট্যুর প্যাকেজ রয়েছে।
- হোটেলটি তার উৎকৃষ্ট সেবা ও অতিথি-বান্ধব পরিবেশের জন্য সুপরিচিত।
ওপরে উল্লেখিত হোটেল গুলোর প্রত্যেকটিতেই আপনি ফ্রি ইন্টারনেটের সুবিধা পাবেন।
এখানে লক্ষ্যনীয় একটি বিষয় যেটা সেটা হল যে এই প্রত্যেকটি হোটেল গুলো এখানে
অবস্থানরত প্রতিদিনের খরচের তালিকা টা উল্লেখ করা হয়নি। এর কারণ হচ্ছে যে আমাদের
সবার অভিরুচি কিংবা মতামত এক নয় এই খরচটা পুরাটাই নির্ভর করবে নিজেদের থাকা
খাবার এর মানের ওপর।
কারণ প্রতিটি হোটেল বা রিসোর্ট এর বিভিন্ন প্যাকেট বা বিভিন্ন রুমের বিভিন্ন
রেট রয়েছে। তাই এ
হোটেল গুলিতে রাত্রিযাপনের খরচটা নির্ভর করবে ব্যক্তিগত অভিরুচির ওপর।
রাত্রি যাপনের জন্য কক্সেবাজারের পাঁচটি উচ্চ মানের হোটেল
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র
সী পার্ল বিচ রিসোর্টঃ
- সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত, যা অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ দেয়।
- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কক্ষ ও সুইট, যা আরামদায়ক অবস্থানের নিশ্চয়তা দেয়।
- বিভিন্ন ধরনের রেস্তোরাঁ, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবার পরিবেশন করা হয়।
- স্পা ও ফিটনেস সেন্টার, যা অতিথিদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য সুযোগ প্রদান করে।
- সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন ধরনের জলক্রীড়া ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা।
- আধুনিক কনফারেন্স ও ইভেন্ট সুবিধা, যা ব্যবসায়িক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।
রোযাল তিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্টঃ
- কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত।
- আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন কক্ষ, রেস্তোরাঁ, সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার।
- বঙ্গোপসাগরের মনোরম দৃশ্য উপভোগের সুযোগ।
- উচ্চমানের আতিথেয়তা এবং ব্যক্তিগত সেবা প্রদান।
- অ্যাক্টিভিটি: সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বিনোদনের ব্যবস্থা।
- শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশে অবকাশ যাপনের সুযোগ।
লং বিচ হোটেলঃ
- সমুদ্র সৈকতের পাশেই অবস্থিত, অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ।
- আধুনিক সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন ধরনের কক্ষ ও সুইট রয়েছে।
- রেস্তোরাঁয় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবারের সমন্বয়।
- সুইমিং পুল, স্পা, ফিটনেস সেন্টারসহ বিনোদনের নানা ব্যবস্থা।
- বিভিন্ন ইভেন্ট ও সম্মেলনের জন্য সুসজ্জিত হল রয়েছে।
- অতিথিদের জন্য বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ ও সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে।
সায়মন বিচ রিসোর্টঃ
- সায়মন বিচ রিসোর্ট কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
- এই রিসোর্টটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ আরামদায়ক থাকার ব্যবস্থা প্রদান করে।
- এখানে রয়েছে সুসজ্জিত রুম, সুইমিং পুল, রেস্তোরাঁ এবং স্পা সেন্টার।
- পর্যটকরা এখান থেকে সমুদ্র সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
- রিসোর্টটি বিভিন্ন ধরনের আউটডোর অ্যাকটিভিটি এবং ওয়াটার স্পোর্টস সুবিধা দেয়।
- সায়মন বিচ রিসোর্ট কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি আরামদায়ক অবকাশ যাপনের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
ওশান প্যারাডাইস হোটেলঃ
- সমুদ্র সৈকতের কাছে অবস্থিত, দর্শনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে।
- আধুনিক কক্ষ, সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার, এবং স্পা সুবিধা রয়েছে।
- বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক খাবারের রেস্তোরাঁ আছে।
- সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য রুফটপ লাউঞ্জ এবং বিচ ভিউ বারের ব্যবস্থা।
- ২৪ঘণ্টা রিসেপশন, রুম সার্ভিস, এবং ট্যুর গাইডের সুবিধা প্রদান করে।
- বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই, পার্কিং, এবং শটল সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
ওপরে উল্লেখিত হোটেল গুলোর প্রত্যেকটিতেই আপনি ফ্রি ইন্টারনেটের সুবিধা পাবেন।
এখানে লক্ষ্যনীয় একটি বিষয় যেটা সেটা হল যে এই প্রত্যেকটি হোটেল গুলো এখানে
অবস্থানরত প্রতিদিনের খরচের তালিকা টা উল্লেখ করা হয়নি। এর কারণ হচ্ছে যে আমাদের
সবার অভিরুচি কিংবা মতামত এক নয় এই খরচটা পুরাটাই নির্ভর করবে নিজেদের থাকা
খাবার এর মানের ওপর।
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।কারণ প্রতিটি হোটেল বা
রিসোর্ট এর বিভিন্ন প্যাকেট বা বিভিন্ন রুমের বিভিন্ন রেট রয়েছে। তাই এ
হোটেল গুলিতে রাত্রিযাপনের খরচটা নির্ভর করবে ব্যক্তিগত অভিরুচির ওপর।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কক্সবাজারের অবদান
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র। কথাটা কতটুকুটা গ্রহণযোগ্য
চলুন এবার তা জানে। কক্সবাজার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত এই অঞ্চলটি দেশের তথা পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘ
সমুদ্র সৈকত। এই উপগেলীয় শহর দেশের পর্যটন শিল্পের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে
পরিচিত।
বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত অর্থাৎ কক্সবাজার যা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ
পর্যটকদের আকর্ষণ করে। যার ফলে এই পর্যটন শিল্পের দ্বারা স্থানীয় অর্থনীতিতে
প্রচুর বিপ্লব ঘটেছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব উৎপাদন
করে চলেছে এই নীল পানির অঞ্চল কক্সবাজার। পর্যটন শিল্প ছাড়া কক্সবাজারের মৎস্য
শিল্প দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে।
কক্সবাজারে অবস্থিত জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংগ্রহ করে যা
দেশের খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি রপ্তানি করেও বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রমশই বৈদেশিক
মুদ্রা অর্জন করে চলেছে। এছাড়াও কক্সবাজারে উৎপাদনরত নুন শিল্প যা দেশের চাহিদার
একটি বড় অংশ পূরণ করে। সম্প্রীতি কালে কক্সবাজারে মাতারবাড়ি নামক অঞ্চলে
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
যেটির ফলে এই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এছাড়াও রোহিঙ্গা
শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন খাতে
বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন করে থাকে। কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের
প্রাণকেন্দ্র ও শুধু এটাই তাই নয় সৌন্দর্যের মুখোর ধারি এই অঞ্চলটি বিভিন্ন
উপায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ চলেছে। যার ফলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের
একটি আলাদা পরিচয় রয়েছে।
শেষ কথা
প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাদের মানব সমাজের হৃদয়ে স্পর্শক এবং বিনোদনের অন্য একটি
মাধ্যম। প্রকৃতির সৌন্দর্যের উৎস গুলোর মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যা বিশ্বের
দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত এটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। প্রিয় ভিউয়ার্স এই
আর্টিকেলে কক্সবাজার সম্পর্কে কিছু মূল তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা
করেছি আশা করছি আপনারা এর দ্বারা উপকৃত হবেন।
কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।প্রতিনিয়ত এরকম আর্টিকেলের
জন্য আমাদের ওয়েবসাইট করুন এবং এর দ্বারা উপকৃত হলে আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার
করুন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url