চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম
ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চাচন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম এর বিস্তারিত ধারণা নিয়ে আজকে
আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে।আজকের আলোচনায় আমরা চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং
এর দ্বারা রূপচর্চার নিয়ম ও তার পাশাপাশি চন্দন মুখে লাগানোর নিয়ম চন্দন পাউডার
ব্যবহারের নিয়ম চন্দনের প্রকারভেদ এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করব।
বিস্তারিত
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম বিষয়ে জানতে আশা করছি এই আর্টিকেল এর শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃচন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম
নিচের যে অংশ প্রথমে পড়তে চান ক্লিক করুনঃ
চন্দন মুখে লাগানোর নিয়ম
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।রূপচর্চার আভিজাত ও উপাদান হিসেবে
চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়মনিয়ে
বিভিন্ন গবেষক এর বিভিন্ন রকম মতামত রয়েছে। তবে,চন্দন ব্যবহার এটি একটি প্রাচীন
ভারতীয় ঐতিহ্য অসভ্যতা যা শুধু মানবত্মক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না সেই সাথে
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চন্দনের ব্যবহার খুব
সহজ।
এটি একটি সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায় যার ফলে এটি সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ত্বক
সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহার করতে পারে। প্রথমত একটি পরিষ্কার চন্দন কাঠি বা চন্দন
কাঠের গুড়া নিতে হবে। এরপরে একটি পাত্রে নিয়ে অল্প একটু পানিতে এ গুড়া দিয়ে
সুন্দরভাবে মসৃণ একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট লাগানোর পূর্বে মুখ ভালোভাবে
ধুয়ে নিতে হবে এবং এরপরে অল্প পরিমাণে আঙ্গুলের লাগিয়ে নিয়ে এটি পুরো মুখে
অর্থাৎ, কপাল গাল নাক এবং চিবুকের আশেপাশে সমানভাবে লাগাতে হবে।
চন্দনের মিশ্রণটি ত্বকে লাগানো হলে এটি শুকানোর জন্য২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা
করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পড়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। তোকে
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সপ্তাহে ২-৩বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। চন্দনের বিশেষ গুণ
এটি ত্বককে ঠান্ডা ও মসৃণ করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর
করতে সাহায্য করে। নিয়মিত চন্দন ব্যবহারে তাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
চন্দন পাউডার ব্যবহারের নিয়ম
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।ত্বকের যত্নে চন্দন পাউডার একটি
প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক মুক্ত কার্যকরী উপাদান। চন্দন পাউডার ব্যবহারের আগে প্রথমে
পাউডারটি একটি পাত্রে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি
করতে হবে। ব্যবহারের পূর্বে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। চন্দন পাউডার ব্যবহারের
ক্ষেত্রে সপ্তাহে কমপক্ষ.২-৩ বার এটি ব্যবহার করতে হবে। মিশ্রণটি ব্যবহারের পরে
১৫-২০ মিনিট তোকে ব্যবহার করে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে
হবে। বিভিন্ন ত্বকের জন্য চন্দন পাউডারের ব্যবহারে বিভিন্ন উপকরণ রয়েছে।
- শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে গোলাপজল বা দুধের সাথে চন্দন পাউডার মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে।
- তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে দই বা টমেটোর রসের সাথে চন্দন পাউডার মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে।
- সূর্যের তাপে পোড়া ত্বকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিষ্কার পানিতে শুধুমাত্র চন্দন পাউডার মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে এটি পোড়া স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত চন্দন পাউডার ব্যবহারে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয় এবং ব্রণ কমে যায়।
অতিরিক্ত গরমে ত্বক সুন্দর ও সতেজ রাখতে চন্দন পাউডার পরিষ্কার পানিতে মিশিয়ে
পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে এতে ত্বকের রুক্ষতা দূর হয়। খুশকি ও ঘামের
কারণে অনেক সময় আমাদের মাথার ত্বক অনেক চুলকায় সেক্ষেত্রে চন্দনের প্রলেপ তৈরি
করে মাথায় ব্যবহার করলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।তবে, যাদের চন্দনের
উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে নিয়ম গুলো জানা নেই।
তাদের বিভিন্ন মাধ্যম বা পরামর্শকদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো।
কেননা, অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করা উচিত।
কোন চন্দন ভালো
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।বন গবেষকদের মতে চন্দনের কয়েকটি
প্রজাতি রয়েছে।চন্দন একটি সুগন্ধী যুক্ত মূল্যবান কাঠ।এই চন্দনের ব্যবহার এর
গুনাগুন এবং জনপ্রিয়তার দিক থেকে দুই প্রকার এর চন্দন অধিক ব্যবহারিত হয়। এর
মধ্যে শ্বেত চন্দন ও লাল চন্দন উল্লেখযোগ্য। শ্বেত চন্দন (Santalum album)
সবচেয়ে মূল্যবান ও সুগন্ধযুক্ত।
এটি ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া যায় এবং এর তেল ব্যবহৃত হয় সুগন্ধি,
ঔষধ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। লাল চন্দন (Pterocarpus santalinus) মূলত ভারতের
দক্ষিণাঞ্চলে পাওয়া যায় এবং এর লাল রঙের কাঠ মূল্যবান আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত
হয়।উভয় প্রকার চন্দনে দুর্লভ এবং অনেক দামি ও সংরক্ষিত। ভারতবর্ষে এই চন্দনের
সংরক্ষণের জন্য বিশেষ আইন জারি করা হয়েছে এবং এর চোরা পাচারের জন্য কঠোর শাস্তির
ব্যবস্থা আছে।
গুণগত মান সুগন্ধ এবং ব্যবহারের দিক দিয়ে শ্বেত চন্দন সর্বোচ্চ মানের বলে
বিবেচিত। তবে উল্লেখিত দুই প্রকার চন্দন কাঠেরি তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও
ব্যবহারের উপর তাদের মূল্য নির্ধারিত হয়। চন্দনের গুণগত মান এবং এর মূল্য নির্ভর
করে এই গাছের বয়স উৎপত্তিস্থল এবং সংরক্ষণের পদ্ধতির ওপর।
সাদা চন্দন মুখে দিলে কি হয়
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।ত্বকের ওপর সাদা চন্দনের
ব্যবহারের প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রাকৃতিক শীতল গুণ ত্বকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক করে।
- নিয়মিত ব্যবহারে মুখে কালো দাগ ও অসমতা কমতে থাকে।
- চন্দনের জীবননাশকগুণ ব্রণ ও ভাইরাসজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ফলে মুখের চাকচিক্য বাড়ে।
- এর এন্টি-এজিং উপাদান ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, বয়সের ছাপ কমায়।
- নিয়মিত ব্যবহারে মুখের ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
- চন্দনের মৃদু সুগন্ধ মনকে প্রশান্তি দেয় ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
লাল চন্দন মুখে দিলে কি হয়
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।লাল চন্দন মুখে দিলে যে প্রভাব
গুলো পড়ে তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
- এটি ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন ত্বকের ক্ষতিকর জীবাণু দমন করে।
- মুকের দাগ ও কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত ব্যবহারে মুখের অসমতা দূর হয়।
- ত্বকের রোজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এর প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন গুণ রয়েছে
- মুখে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এর প্রদাহ রোধী গুণ ব্রণের প্রকোপ কমায়।
- ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এর ফলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে এবং বয়সের ছাপ কমে।
- ত্বকের শীতল ও আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করে যার ফলে শীতল প্রকৃতি ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়।
অতিরিক্ত চন্দন ব্যবহার ত্বক ও পরিবেশের ক্ষতি
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।চন্দন গাছ সুগন্ধি কাঠের জন্য
বিখ্যাত কিন্তু এর কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে যা আমাদের ত্বক এবং পরিবেশের প্রতি
খারাপ প্রভাব ফেলে। এগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- চন্দনের অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক শুষ্ক করে দেয়
- চন্দনের সাথে অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মিশনের ত্বকের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়।
- দীর্ঘ মেয়াদে চন্দন ব্যবহারে ত্বকে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরণ কমে যায়।
- কৃত্রিম চন্দন ব্যবহারে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাত্রায় চন্দনের ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়।
- চন্দন তেলের অপব্যবহার ত্বকের এলার্জি বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
- চন্দন তেলের অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে মাথা ব্যথা বা বমি বমি ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
- চন্দন গাছের চাষ অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, ফলে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন অর্থনৈতিকভাবে কম লাভজনক।
- চন্দন কাঠের উচ্চ মূল্যের কারণে এটি অবৈধ কাটান ও পাচারের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে, যা আইন প্রয়োগ সংস্থাগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।
- চন্দন গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন, যা জলসংকটগ্রস্ত অঞ্চলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- চন্দন গাছের একচেটিয়া চাষ জৈব বৈচিত্র্য হ্রাস করে, যা স্থানীয় পরিবেশতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে বেশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
চন্দন কখন ব্যবহার করতে হয়
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।চন্দনের বহুমুখী গুনের জন্য এটি
বিভিন্ন কাজে এবং বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ
- ত্বকের যত্নে চন্দন ব্যবহার করা হয় এটি ত্বকেশিত লোকোমল রাখতে এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- চন্দন বিভিন্ন চর্মরোগ জ্বর ও মানসিক চাপ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
- চন্দনের সুমধুর গন্ধ বাড়িতে সুবাস সরাতে ব্যবহার করা হয়।
- চন্দনের শান্তিদায়ক গন্ধ ধ্যান ও যোগ ব্যায়ামের সময় মনঃসংযোগে ঘটাতে সাহায্য করে ।
- হিন্দু ধর্মে পূজা অর্চনা ও প্রার্থনা সময় চন্দন ব্যবহার হয়।
ছেলেদের মুখে চন্দন দিলে কি হয়
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম
- চন্দন ব্যবহারের ফলে ছেলেদের ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে কারণ চন্দনের শীতল প্রভাব ত্বককে শান্ত ও মসৃণ করে।
- ত্বকে চন্দনের ব্যবহারের ফলে এর সুগন্ধ মনকে প্রশান্তি দেয় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- এটি ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনের একটি অংশ হিসেবে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক উন্নতিতে সহায়তা করে।
- সামাজিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় চন্দন ব্যবহার করা ব্যক্তির সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়।
- চন্দন ব্যবহারে ছেলেদের ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- চন্দন ব্যবহার একটি ঐতিহ্যগত প্রথা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বহন করে, যা সামাজিক সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ব্রণের জন্য চন্দন ভালো কেন
চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়ম।চন্দন এটি একটি প্রাকৃতিক
অ্যান্টিসেপটিক যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের ব্রণ দূর করনে
চন্দনের উল্লেখযোগ্য অবদান তা নিচে দেওয়া হলঃ
- লাল চন্দন ত্বকের ব্রণের জন্য বিশেষ উপকারী কারণে এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- সাদা চন্দন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং লোমকূপ পরিষ্কার করে।
- চন্দনের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দমন করে।
- এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- চন্দনের শীতল প্রভাব ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমিয়ে দেয়।
- নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
- চন্দনের প্রাকৃতিক সুগন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে যা পরোক্ষভাবে ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।
চন্দনের প্রকারভেদ ও এর দাম
চন্দনকাঠের বিভিন্ন প্রকারভেদ ও মূল্যঃ
১) শ্বেত চন্দন: এটি সবচেয়ে মূল্যবান ও সুগন্ধযুক্ত। প্রতি কেজির
দাম প্রায় ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা।
২) রক্ত চন্দন: গাঢ় লাল রঙের, সুগন্ধযুক্ত। দাম প্রতি কেজি
৫,০০০-৮,০০০ টাকা।
৩) পীত চন্দন: হলুদাভ রঙের, মাঝারি মানের। দাম প্রতি কেজি
৩,০০০-৫,০০০ টাকা।
৪) কৃষ্ণ চন্দন: কালো রঙের, কম সুগন্ধযুক্ত। দাম প্রতি কেজি
২,০০০-৩,০০০ টাকা।
৫)মায়সোর চন্দন: ভারতের মায়সোর অঞ্চলে পাওয়া যায়, উচ্চ মানের।
দাম প্রতি কেজি ৭,০০০-১০,০০০ টাকা।
৬) অস্ট্রেলিয়ান চন্দন: তুলনামূলকভাবে কম মূল্যবান। দাম প্রতি
কেজি ১,৫০০-২,৫০০ টাকা।
৭) ইন্দোনেশিয়ান চন্দন: মাঝারি মানের, সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়।
দাম প্রতি কেজি ২,০০০-৩,৫০০ টাকা।
চন্দনকাঠের মূল্য তার গুণগত মান, বয়স, ও উৎপত্তিস্থলের উপর নির্ভর করে। উচ্চ
মানের চন্দনকাঠ অত্যন্ত মূল্যবান ও দুর্লভ।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় ভিউয়ার্স আজকের এ আর্টিকেলে চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার
নিয়ম এই বিষয়ে আপনাদেরকে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে। প্রাচীনকাল
থেকেই রূপচর্চার আভিজাত্য হিসেবে এই চন্দন কাঠের ভূমিকা অপরিসীম। তবে এর
অপকারিতার দিকগুলো লক্ষ্য রেখে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা উচিত।
এই আর্টিকেলটি আপনারা উপকৃত হন তাহলে আপনাদের পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে
এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দিন। চন্দন ব্যবহারের বিষয়ে আজকের আলোচনা এ
পর্যন্ত আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আলোচ্য বিষয় এখানেই শেষ করছি ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url