ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা

চন্দনের উপকারিতা অপকারিতা এবং রূপচর্চার নিয়মব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।আপনি কি ব্ল্যাক কফি প্রেমিক, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা-এর সাহায্যে রূপচর্চা এ সকল যাবতীয় বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এছাড়াও ব্ল্যাক কফি পানের সঠিক সময় ও পরিমাণ এবং ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম ।
ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা
তাহলে চলুন আর দেরি না করে, ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা-এর সাহায্যে রূপচর্চা এবং এর বিভিন্ন তথ্য জেনে আসে।

পোস্ট সূচিপত্রঃব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

কোমল এবং সুস্বাদু পানীয় খাদ্যের মধ্যে ব্ল্যাক কফি অন্যতম। দীর্ঘ প্রাচীন সময় থেকে ব্ল্যাক কফি অনেক জনপ্রিয় একটি খাবারে পরিণত হয়েছে।ব্ল্যাক কফির উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় বিদ্যমান। ব্ল্যাক কফি নিয়মিত সেবনের ফলে আমাদের যে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়ে থাকে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো বিস্তারিতভাবে। 

এর পাশাপাশি ব্ল্যাক কফি অতিরিক্ত সেবনে যে ক্ষতির দিকগুলো রয়েছে সেগুলো বিষয়েও নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। এছাড়াও ব্ল্যাক কফির বেশ কিছু গুনাগুন রয়েছে যার ফলে এটিকে রূপচর্চার দ্রব্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

ব্ল্যাক কফির ইতিহাস-প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।বর্তমান যুগে পৃথিবীতে পানীয় সামগ্রীর মধ্যে অনেক জনপ্রিয় এবং উপকারী পানীয় হিসেবে কফি অন্যতম ।ব্ল্যাক কফির ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং রহস্যময়। ব্ল্যাক কফির উৎপত্তিস্থল আফ্রিকার ইথিওপিয়া শহরকে মনে করা হয়, এই ইথিওপিআই এই কফি গাছের প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল। 

প্রাচীন কাল থেকেই কফি প্রথমত খাবার হিসেবে উৎপাদন করা হতো পরবর্তীতে এটি একটি জনপ্রিয় পানীয় হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে। মধ্যযুগে আরব বিশ্বে কফি ব্যাপকভাবে সাড়া দেয় এবং আরব দেশ থেকেই এটি ইউরোপের দিকে ধাবিত হয় ধীরে ধীরে এটি তার স্বাদ গন্ধ এবং গুনে বিশ্বকে জয় করে। ১৭ শতাব্দীতে ইউরোপের কফি হাউস গুলি সামাজিক ও বুদ্ধিজীবী কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 

 ঔপনিবেশিক যুগে কফির চাহিদা এবং মূল্যের উপর ভর করে কফি চাষ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ।বর্তমান বিশ্বে ব্ল্যাক কফি সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় গুলোর মধ্যে একটি ।আধুনিক যুগে এস্প্রেসো মেশিন ও বিভিন্ন ব্রুইং পদ্ধতির উদ্ভাবন কফি সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বজুড়ে কফি শপ ও ক্যাফেগুলি সামাজিক মিলনের স্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।এভাবে প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত ব্ল্যাক কফি মানুষের জীবনে একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।

ব্ল্যাক কফি পানের সঠিক সময় ও পরিমাণ

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।বর্তমানে বিশ্বের প্রতিটি দেশের যেকোনো অবস্থায় যেকোনো সময় কথোপকথন আড্ডায় সবকিছুতে ব্ল্যাক কফি একটি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক পানীয়। তবে এই ব্ল্যাক কফি সেবনেরও সঠিক সময় ও নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। ব্ল্যাক কফি পানের সময় ও পরিমাণ নির্ভর করে ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর ভিত্তি করে এর পাশাপাশি এটি মানব দেহের শারীরিক প্রতিক্রিয়া এবং দৈনন্দিন খাবারদাবার চলাফেরা রুটিনের উপর নির্ভর করে। 
দিনের শুরুতে সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে এক কাপ ব্ল্যাক কফি পান করা মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী ।সকালে ব্ল্যাক কফি সেবনের ফলে আমাদের শরীরে যে প্রাকৃতিক কর্টিসল হরমোন রয়েছে এর সাথে সামঞ্জস্যতা সৃষ্টি করে যার ফলে সারাদিন পরিশ্রমের জন্য শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের যে ক্লান্তি ভাবটা থাকে তা দূর করতে এবং আমাদের শরীর ফ্রি করতে সাহায্য করে। 

দুপুরে খাবারের পরে ১থেকে ২ ঘন্টা পরে আরো এক কাপ ব্ল্যাক কফি পান করা যেতে পারে যা বিকালের সময়ের সময়টাকে উপভোগ করতে আপনাকে সাহায্য করবে আপনার মন প্রফুল্ল রাখবে এবং ক্লান্তি দূর করবে ।কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম ব্যস্ততার উপর ডিপেন্ড করে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে চারটার পরে কফি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এর জন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কাপ এর বেশি ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত নয় ।

সাধারণত এক কাপ ব্ল্যাক কফিতে ৮- ১২ আউন্স তরল থাকে এতে প্রায় ৯৫-২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন এ সমৃদ্ধ, প্রতিদিন ৪০০মিলিগ্রাম এর বেশি ক্যাফেন গ্রহণে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে ।এ থেকে আমাদের ঘুমের সমস্যা উদ্বেগ বা পেটের অস্বস্তিদেখা দিতে পারে। এজন্য আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সঠিক পরিমাণে অভিমান করার চেষ্টা করব এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো ও সুস্থ থাকবে। তাই বলা যায় যে ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় মাথায় রেখে এটি সেবন করতে হবে।

কফির পুষ্টিগুণ: এক কাপে কী কী রয়েছে

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।ব্ল্যাক কফি এটি একটি বর্তমান বিশ্বে পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্য উপযোগী উপকারী পানীয় হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে ক্যাফেইন মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়ায় এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করে। ব্ল্যাক কফিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, এছাড়াও পলিফেনল ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা কোষ ক্ষতি রোধ করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। 

এছাড়াও এতে রয়েছে বি ভিটামিন, যেমন রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, যা শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ, যা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।ব্ল্যাক কফি এটি একটি কম ক্যালরি সম্পন্ন পানীয় এক কাপ কফিতে মাত্র ২থেকে ৫ ক্যালরি থাকে।তবে চিনি বা কোন মিষ্টি দ্রব্য বা ক্রিম যোগ করে পান করলে এতে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়। 
কফির পুষ্টিগুণ: এক কাপে কী কী রয়েছে


গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কফি পান করলে টাইপ টু ডায়াবেটিস, পার্কিনসন্স রোগ, লিভারের রোগ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমতে পারে।কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ অফিসে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির বিষয় হইতে পারে, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী মাঝারি পরিমানে কপি পান করাই উচিত।

বিভিন্ন ধরনের কফি ও তাদের বৈশিষ্ট্য

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।বিশ্বব্যাপী কফি একটি জনপ্রিয় পানীয়, তবে আপনারা জানেন কি এর কিছু প্রকারভেদ ও বৈশিষ্ট্য এবং তৈরির কৌশল রয়েছে নিচে দেয়া হলঃ

এস্প্রেসো কফিঃএস্প্রেসো হল একটি ঘন, তীব্র স্বাদের কফি, যা উচ্চ চাপে তৈরি করা হয়। এটি অনেক কফি পানীয়ের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক্যাপুচিনো কফিঃ ক্যাপুচিনো হল এস্প্রেসো, গরম দুধ এবং দুধের ফেনার একটি সমন্বয়, যা মসৃণ ও ক্রিমি স্বাদ প্রদান করে। লাত্তে আরও বেশি পরিমাণে দুধ ব্যবহার করে, যা এটিকে ক্যাপুচিনোর তুলনায় হালকা করে তোলে।

অ্যামেরিকানো কফিঃ অ্যামেরিকানো হল এস্প্রেসোতে গরম পানি মিশিয়ে তৈরি একটি হালকা কফি।

ফিল্টার কফি বা ড্রিপ কফিঃফিল্টার কফি বা ড্রিপ কফি হল একটি ক্লাসিক পদ্ধতি, যেখানে গরম পানি কফি গুঁড়োর মধ্য দিয়ে ফিল্টার করা হয়।

কোল্ড ব্রু কফিঃ কোল্ড ব্রু হল ঠাণ্ডা পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে ভিজিয়ে রাখা কফি, যা কম অ্যাসিডিক ও মসৃণ স্বাদযুক্ত।

মোকা কফিঃ মোকা কফি চকলেট ও কফিন মিশ্রণে তৈরি একটি পানীয় যা মিষ্টি স্বাদ প্রেমীদের জন্য আদর্শ।

ছাড়াও রয়েছে ফ্রেঞ্চ প্রেস, টার্কিশ কফি, আইরিশ কফি প্রভৃতি, যাদের প্রত্যেকটির নিজস্ব অনন্য প্রস্তুত পদ্ধতি ও স্বাদ রয়েছে।

কফি প্রস্তুতের বিভিন্ন পদ্ধতি 

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা
  • ড্রিপ পদ্ধতি: গরম পানি ধীরে ধীরে কফি গুঁড়োর উপর দিয়ে পরিশ্রুত করা হয়।
  • ফ্রেঞ্চ প্রেস: কফি গুঁড়ো গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে প্লাঞ্জার দিয়ে চেপে ফিল্টার করা হয়।
  • এস্প্রেসো: উচ্চ চাপের গরম পানি দ্রুত কফি গুঁড়োর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়।
  • মোকা পট: নীচের অংশে পানি ফুটানো হয়, মধ্যে কফি গুঁড়ো রাখা হয়, উপরে কফি জমা হয়।
  • কোল্ড ব্রু: কফি গুঁড়ো ঠান্ডা পানিতে দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখা হয়।
  • পোর ওভার: হাতে করে ধীরে ধীরে গরম পানি কফি গুঁড়োর উপর ঢালা হয়।
  • এরোপ্রেস: প্লাঞ্জার দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কফি গুঁড়ো থেকে পানি বের করা হয়।
  • সাইফন: ভ্যাকুয়াম প্রেশারের মাধ্যমে পানি উপরে উঠে কফি গুঁড়োর সাথে মিশে যায়।

কফির সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।ব্ল্যাক কফি একটি জনপ্রিয় এবং মুখরোচক পানীয় হলেও এর কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অপকারিতা রয়েছে।। এগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
  • কফিতে রয়েছে ক্যাফে অতিরিক্ত মাত্রায় কফি সেবনের ফলে এর ক্যাফিন এর জন্য ঘুমের সমস্যা উদ্বেগ পেটের অস্বস্তি এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধিবাড়িয়ে তোলা। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদী কফি সেবন রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • কফি আমাদের দেহের এসিডের মাত্রা বাড়ায় যা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা অম্লপিত্তের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • কফি মুত্র বর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে যা শরীরের পানি শূন্যতা ঘটাতে পারে ।
  • গর্ভধারণকালে গর্ভবতী মহিলাদের অতিরিক্ত মাত্রায় কফি সেবনের ফলে গর্ভপাত এবং কম ওজনের বাচ্চা জন্মের ঝুঁকি হতে পারে।
  • কফিতে থাকা ট্যানিন শরীরে আয়রন শোষণে বাধা দিতে পারে, যা রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে।
  • কফির অভ্যাস ছাড়তে গেলে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, মেজাজ খারাপ হওয়া ইত্যাদি প্রত্যাহার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
তবে সঠিক নিয়মে এবং পরিমাণ মতো কফি পান করলে এর উপকারিতা সঠিকভাবে গ্রহণ করা সম্ভব।

ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম

  • উচ্চ মানের কফি বিন বেছে নিন এবং সেগুলি টাটকা গ্রাইন্ড করুন।
  • পানি ফুটানোর সময় তাপমাত্রা ৯০-৯৬°C এর মধ্যে রাখুন।
  • প্রতি কাপের জন্য২চামচ গ্রাউন্ড কফি ব্যবহার করুন।
  • গরম পানি ঢেলে কফি৪-৫ মিনিট স্টিপ করতে দিন।
  • একটি হালকা ফিল্টার দিয়ে কফি ছেঁকে নিন।
এই পদ্ধতিতে আপনি পূর্ণ স্বাদযুক্ত, সুগন্ধি ব্ল্যাক কফি পাবেন।

চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা ।চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • এটি শরীরে ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুক্ত-মূলক ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর করে।
  • কফির ক্যাফেইন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
  • নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান টাইপ-২ ডায়াবেটিস, পার্কিনসন্স রোগ এবং লিভারের রোগের ঝুঁকি কমায়। এটি শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্যায়ামের সময় ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
তবে, অতিরিক্ত পরিমাণে কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

দুধ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধ কফির উপকারিতাঃ
(১) এটি শক্তি বৃদ্ধি করে ও সতর্কতা বাড়ায়।
(২) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
(৩) ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন D এর উৎস যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
(৪) মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
(৫) মানসিক চাপ কমায় ও মেজাজ ভালো রাখে।

দুধ কফির অপকারিতা
(১) অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
(২) পেটে অস্বস্তি ও এসিডিটি বৃদ্ধি করতে পারে।
(৩) দাঁতের রং পরিবর্তন করতে পারে।
(৪) রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে।
(৫) লাক্টোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সুতরাং, দুধ কফি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং নিজের শারীরিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

রূপচর্চায় ব্ল্যাক কফির অবদান

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা'ব্ল্যাক কফির গুনাগুন রূপচর্চায় বেশ কয়েকটি উপকারী ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে ত্বকের পাঁচটি প্রধান উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • কফিতে এন্টি অক্সিজেন রয়েছে যা ত্বকের কোষ গুলোর মুক্ত অনুর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এর ফলে ত্বক তরুণ দেখায়।
  • কফিতে অবস্থিত ক্যাফেইন রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যা ত্বকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • কফির ডিওরেটিক গুণের প্রভাবে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এর ফলে ত্বকের দৃশ্যমান উন্নতি ঘটায়।
  • নিয়মিত এবং সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিমাণে ব্ল্যাক কফি গ্রহণ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে যা সামগ্রিকভাবে দেহের আকৃতি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
রূপচর্চায় ব্ল্যাক কফির অবদান


ভালো মানের ব্ল্যাক কফির নাম ও বাংলাদেশি টাকায় এদের দাম

  • জামাইকার blue মাউন্টেন কফি: প্রতি কেজি প্রায় ৪৫,০০০-৫০,০০০ টাকা।
  • হাওয়াইয়ের কোনা কফি: প্রতি কেজি প্রায় ৩৫,০০০-৪০,০০০ টাকা।
  • ইন্দোনেশিয়ার কোপি লুওয়াক: প্রতি কেজি প্রায় ৮০,০০০-৯০,০০০ টাকা।
  • পানামার গেইশা কফি: প্রতি কেজি প্রায় ৬০,০০০-৭০,০০০ টাকা।
  • এথিওপিয়ার ইয়িরগাচেফে কফি: প্রতি কেজি প্রায় ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা।

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা।ব্ল্যাক কফি এর বিভিন্ন উপকারী গুণের জন্য এটি আমাদের শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ব্ল্যাক কফি পান করার কিছু নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

  • প্রতিদিন ২-৩ কাপ এর বেশি কফি পান করা যাবে না। কারণ এতে বিদ্যমান ক্যাফে স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • সকালের খাবার গ্রহণের পূর্বে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খাওয়া ভালো এতে মেটাবলিজম বাড়তে সাহায্য করে।
  • শুধুমাত্র ব্ল্যাক কফি সেবন করা উচিত কারণ কফিতে দুধ চিনি বা ক্রিম মেশালে এতে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যায়।
  • কফিকে কখনোই খাবারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয় এতে শরীরের পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। এজন্য, পরিমাণ মতো কফি সেবন এর পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভাস বজায় রাখতে হবে।
  • কখনোই ব্যায়াম বা শারীরিক চর্চা করার আগে কফি পান করা উচিত নয় এতে শরীরের ফ্যাট দ্রুত এর সম্ভাবনা থাকে যার ফলে শরীরে দুর্বলতা অনুভব হয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় ভিউয়ার্স,ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা -এর সাহায্যে রূপচর্চা। ব্ল্যাক কফি এটি কফির বিশুদ্ধ ও পরিশোধিত স্বাদ। যিনি বা দুধ ছাড়া এর তীব্র স্বাদ অনেকের প্রিয়। এতে কম ক্যালরি রয়েছে যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে ক্যাফিন এর উপস্থিতি আমাদের শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের স্বাস্থ্য টক শরীর সবকিছুর জন্য উপকারী । তবে অতিরিক্ত পরিমাণ ব্ল্যাক কফি সেবনে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা রয়েছে। 

আশা করছি এই আর্টিকেলের দ্বারা ব্ল্যাক কফের যাবতীয় তথ্য আপনাদের সাথে আলোচনা করতে পেরেছি। এ আর্টিকেলের দ্বারা আপনি উপকৃত হলে আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আলোচনা এখানে শেষ করছি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url