কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

সবচেয়ে বেশি আয়রন সমৃদ্ধ খাবারকাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা প্রিয় ভিউয়ার এটা হচ্ছে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়। আমলকি এমন একটা ফল যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অম্ল এবং ভিটামিন সি এর পুষ্টিগুণ রয়েছে আজকে আমরা জানবো কাঁচা আমলকি প্রতিদিন সেবনে এর উপকারিতা এবং প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি ফল খাওয়া উচিত।
চলুন দেরি না করে এক নজরে জেনে আসি কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং কি পরিমান খাব।

পোস্ট সূচীপত্রঃকাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আমলকি কেন খাব

কাঁচা আমলকি এটি একটি ভিটামিন সি এর অনেক বড় উৎসব প্রতিদিন কাঁচা আমলকি ছোট করে কেটে এক গ্লাস গরম পানিতে কিছুক্ষণ মিশিয়ে রাখতে হবে। তারপরে এটি সকালে খালি পেটে পান করতে হবে। পানি পান করার দুই থেকে তিন মিনিট পরে আমলকি টুকরাগুলো চিবিয়ে খেয়ে নিতে হবে। এত আমলকের টুকরো এবং আমলকির রস মেশানো পানি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যাবে। 

আমলকির রস অর্থাৎ ভিটামিন সি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমলকিতে শুধু যে ভিটামিন সি আছে ঠিক তেমনটা নয়। এতে ধর্মীয় গুণ অর্থাৎ আমলকারী গুণ ও আছে। সেজন্য এটাকে শরীরের উপকারী বন্ধু ও বলা হয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করব আমলকি কাঁচা অথবা হালকা গরম পানিতে অল্প সময় ভিজিয়ে সে পানিটা খাওয়া এবং আমলকির টুকরোগুলো চিবিয়ে খাওয়া। সম্পূর্ণরূপে আমলকি সিদ্ধ করে খেলে এর পুষ্টিগুণ অর্থাৎ ভিটামিন সি এর যে গুনটা সেটা নষ্ট হয়ে যায়। 
যত রকমের ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল আছে যেমন লেবু পেয়ারা কমলালেবু কার্য লেবু বাতাবি লেবু এর সকল ফলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে আমলকিতে ভিটামিন সি এর উৎসটা বেশি। এজন্য মানব শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী এবং কার্যকরী গড়ে তুলতে প্রতিদিন অন্তত একটা আমলকি খাওয়া প্রয়োজন। আবার মেডিকেলের ভাষায় বলা যেতে পারে আমলকি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আমাদের শরীরের টক্সিন বা বিষক্রিয়া কোষ গুলো শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই বলা যেতে পারে আমলকি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকি খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা আছে এর মধ্যে প্রধান কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • দীর্ঘমেয়াদী সর্দি-কাশি জ্বর গলা ব্যথা এইসব ভাইরাসনিত রোগের কার্যকরী ঔষধ হিসেবে আমলকি কাজ করে।
  • টিউবারকিউলোসিস অর্থাৎ আমরা যেটাকে টিবি চিনে থাকি এ রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে আমলকি আমাদের শরীরকে সাহায্য করে।
  • পলিফেনাল নামক গুনাগুন থাকায় আমলকি মানব শরীরের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতেও বাধা প্রদান করে যার ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
  • লিভারের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধিতেও আমলকির ভূমিকা রয়েছে। পেটের সমস্যা এবং বদহজম থেকেও আমলকি আমাদের শরীরকে সাহায্য করে।
  • আমলকি আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • আমলকির অলমিও গুণ থাকায় এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি বা অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
  • অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মুখের মধ্যে ঘা হয় পচনের মত দেখা যায় এগুলো ঠিক করতে এবং দাঁতের ঘোরাতে বা বিভিন্ন ক্ষতস্থান ঠিক করতে আমলকির জুরি মেলা ভার।
  • আমলকিতে ক্রোমিয়াম এর গুনাগুন বিদ্যমান যেটি আমাদের শরীরের ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং আমাদের শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণেও অবদান রাখে।
  • আমলকি যে কোন বয়সের জন্য খুব উপকারী একটি ফল। এটি ক্যারোটিন গুণসম্পন্ন হওয়ায় এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখে ছানি পড়া চোখ চুলকানি বা চোখে পানি পড়ার সমস্যা থেকে ও এটি আমাদেরকে সাহায্য করা।
  • আমলকির অসংখ্য গুন আসে তার মধ্যে একটি হলো আমলকির রস আমাদের স্কাল্পের সঠিক রক্ত সঞ্চালন সংগঠিত করে যার ফলে আমাদের চুল সুস্থ থাকে আমাদের মাথার ত্বক ভালো থাকে চুল পড়া বন্ধ হয় আমলকি এটি চুলের টনিক হিসেবেও অনেক পরিচিত।
  • আমলকিতে যে সকল উপাদান বিদ্যমান তার মধ্যে আরেকটি হলো আন্টি এজিং যা আমাদের বয়স ধরে রাখতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া উচিত

একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয়। এর জন্য প্রতিদিন দুটি দুটি করে আমলকি খাওয়াই যথেষ্ট ।আমলকিতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে সেজন্য দুটি করে আমলকি আমাদের ভিটামিন সি এর চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আমলকি একটি শীতকালীন ফল হিসেবে ধরা যেতে পারে কারণ শীতের সময় এটির প্রচুর পরিমাণে ফলন হয় ।

তাই শীতের সময় প্রতিদিন অন্ততপক্ষে একটা করে আমলকি খাওয়া উচিত শীতের সময় আমলকি অনেক বেশি আমাদের সাহায্য করে। আমলকি টক হাওয়ায় অনেকে আছেন যারা এটিকে কাঁচা খাইতে পারেন না এটি অনেক সময় আচারের মতো করেও খাওয়া যায় ছোট ছোট করে কেটে লবণ মরিচ মিশিয়ে খাওয়া যাই। অল্প করে লবণ মরিচ হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এটি আচারের মতো করেও খাওয়া যায়। 
আমলকি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তবে কিছু কিছু বিষয় বা ক্ষেত্র বিশেষ আছে যেগুলোতে আমলকিকে এড়িয়ে যাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী, মানব শরীরে কোন সার্জারি হয়ে থাকলে বা কোন মানুষ যদি ব্লাড থিনিংয়ের জন্য ঔষধ সেবন করে থাকেন তাহলে আমলকি না খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আবার গর্ভবতী বা অন্তঃসত্ত্বা মা যারা তাদের বাচ্চাকে নিজের বুকের দুধ পান করান তাদের জন্য আমলকি না খাওয়াটা ভালো হবে তাদের জন্য এবং তাদের বাচ্চার জন্য।

এটা বলাই বাহুল্য যে কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের নির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত আমলকি সেবনের ফলে ক্ষতির দিক

কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।আমলকি আমাদের মানবদেহের জন্য একটি উপকারী ফল। কিন্তু এই উপকারী ফলের অতিরিক্ত সেবনে কিছু অপকারি দিকো রয়েছে যা আমাদের বিপদের কারণও হতে পারে। অতিরিক্ত আমলকি সেবনের ফলে ক্ষতির দিকগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
  • পাকস্থলির হজম সংক্রান্ত সমস্যাঃআমলকির গুনাগুন আমাদের শরীরের পাঁচক তন্ত্রের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু মাথা অতিরিক্ত আমলকি খেলে আমরা অনেক সময় বদহজম ডায়রিয়া পেট ফাঁপা গ্যাসটি ক এসিডিটি পেটে ব্যথা এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি। এজন্য মাত্রা অতিরিক্ত আমলকি সেবন আমাদের ক্ষতির কারণে হতে পারে।
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাঃ আমলকিতে অবস্থিত সকল পুষ্টিগুণ বা পদার্থের মধ্যে অন্য একটি পদার্থ আছে যার নাম হচ্ছে অক্রালেট যা আমাদের কিডনিতে পাথর তৈরি করে তাই অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি না খাওয়াটাই আমাদের কিডনির জন্য ভালো।
  • হাইপোগ্লাইসেমিয়া এর সমস্যাঃমানব শরীরে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া যেমন খারাপ তেমনি মাত্র অতিরিক্ত কমে যাওয়া বিপদজনক। আমাদের শরীরের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এই আমলকি ফলের কোন জুড়ি নেই। আমাদের যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এ ফল খুব উপকারী। তবে প্রতিদিন অতিরিক্ত মাত্রায় আমলকি সেবনে রক্তের শর্করা বা ব্লাড সুগার লেভেল অনেকটা কমে যেতে পারে এই সমস্যাটাকে চিকিৎসার পরিভাষায় আমরা বলে থাকি হাইপোগ্লাইসেমিয়া। সেজন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে আমলকি সেবন করতে হবে।
  • রক্তচাপ বৃদ্ধির সমস্যাঃহাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ এটা মোটামুটি আমাদের সকলেরই সোনা একটা কথা। যাদের হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরী। । কেননা এই উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার এর মধ্যে দিয়েই জন্ম নেয় আমাদের হৃদরোগ বা হার্ট স্টক বা হার্ট অ্যাটাক আমরা যাই বলি না কেন।
  • রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যাঃআমলকির অনেক গুণাগুণ আছে কিন্তু তার সাথে সাথে এই ফলের অ্যান্টি প্লেটলেট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে বৈশিষ্ট্য রক্ত পাতলা করে ফেলে। কোন ক্ষতস্থানে রক্ত নিঃসরণ হলে সেখানে রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে। আবার যাদের রক্ত পাতলা হওয়ার ব্যাধি বা রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে তাদের আমলকি না খাওয়াটাই ভালো। আমলকির এই বৈশিষ্ট্যটা শরীরের কোন স্থানে রক্তপাত হলে তা সহজে রক্ত বন্ধ করতে শরীরের যে সক্ষমতা সেটা রাশ করে ফেলে এজন্য আমলকি অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াটাই ভালো।

গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।গর্ভাবস্থায় অনেক মেয়ে মানুষ আছে যারা টক খাইতে পছন্দ করে পছন্দের উপর ভিত্তি করে আমলকি তার শরীরের জন্য এবং বাচ্চার জন্য অনেক ভালো একটি খাবার হিসেবে গণ্য হতে পারে ।গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • গর্ভাবস্থা থাকাকালীন মেয়েদের সাধারণত জ্বর ও মূত্রনালীর সংক্রমণ রোগ হতে পারে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট নামক পদার্থ রয়েছে। যা এই সকল রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
  • গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অনেক মা আছে যারা একটুতে ক্লান্তি অনুভব করেন অলসতা অনুভব করে এমনকি ঘন ঘন বমির উপক্রম দেখা দেয় এ সময় মেজাজও অনেক সময় ভালো থাকে না। আমলকির রস এই সময় এবং এই সকল অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য একটি গর্ভাবস্থা নারীর জন্য বেশ ফলদায়ক।
  • আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান। যার ফলে এটি অন্যান্য পুষ্টি সহ সঠিক মাত্রায় আয়রন শোষণে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • অনেক সময় দেখা গেছে অন্তর সত্তা থাকা অবস্থায় অনেক নারীর হাত-পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হয় এমনকি হাত পায়ের তালু ফুলে যায় আমলকি এসব কিছু সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় গর্ভাবস্থায় থাকা নারীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন অনেক নারী আছে যাদের দাঁতের গোড়া দিয়ে মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হয় এর ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয় আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • অনেক সময় গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন হরমোন গুলো নিজে থেকেই ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়ানোর ফলে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। আমলকিতে রয়েছে এন্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন এর ডায়বেটিস হওয়া থেকে বিরত রাখে।
  • আমলকির রস গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন নিয়ম অনুযায়ী কোন নারী পান করলে তার গর্ভে থাকা শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

দাঁতের জন্য আমলকির ব্যবহার

দাঁতের জন্যকাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।আমলকি একটি টকশাদ যুক্ত ফল যার কারণে এটির অলমো ভাব দাঁতের সমস্যার কারণ হতে পারে। আমলকির তীক্ষ্ণ অন্যভাবের কারণে দাঁতের এনামেলের ক্ষয় হতে পারে। যার ফলে আমাদের দাঁতের টুথ সেনসিটিভিটি সহ দাঁতের কাভিটি এরকম বিভিন্ন রকমের সমস্যা হতে পারে। এজন্য কাঁচা আমলকি খাওয়ার পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা আমাদের দাঁতের জন্য ভালো। 

এছাড়া শুকনা আমলকি খাওয়া যেতে পারে কারণ শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এর অলমো ভাবটা আস্তে আস্তে কমে যায়।

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা

কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।কাঁচা আমলকি যেমন শরীরের জন্য ভালো তেমনি আমলকির তেল আমাদের চুলের জন্য ভালো। আমলকিতে আমাদের চুল ভালো রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করে। প্রতিদিন আমলকির তেল ভালোভাবে হাতের তালুতে মাখিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয় যার ফলে চুল পড়া আস্তে আস্তে বন্ধ হয়। 

প্রতিদিন আমলকির তেল মাথায় মালিশ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল ভালো থাকে এরফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আমলকিতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা আমাদের মাথার খুশকি দূর করতে কাজ করে।

লেখকের শেষ কথা

মানব দেহের জন্য আমলকি ভিটামিন সি এর একটি অনেক বড় উৎস। এর অনেক উপকারিতা আছে কিন্তু অতিরিক্ত সেবনে এর অপকারিতা আছে। আজকের এই আর্টিকালে এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদেরকে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এটি আপনাদের উপকারে আসবে। উপকৃত হলে আপনাদের পরিচিতদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবনের কামনা করে আজকের আলোচনা এখানে শেষ করছি।

কাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।এরকম নিত্য নতুন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন আশা করছি এ সকল তথ্য দ্বারা আপনার উপকার করতে পারব।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url